রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্য প্রাণী
অভয়ারণ্য। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এই বনের তুলনা নেই। কিন্তু
জীববৈচিত্র্যের অভয়ারণ্য এই জলাবনের ভেতরের গাছ কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালী
একটি চক্র।
বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতিতে বনটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে একটি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও। যার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা নয়, উল্টো বন ভক্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, কাঠ পাচারকারী নৌকার মাঝি স্থানীয় মহেষখেড় গ্রামের ইসলাম উদ্দীন পা ধরে আছেন এনজিও ক্রেলের কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের। এ সময় শহীদুলের সঙ্গে থাকা নৌকার মাঝি রাতারগুল গ্রামের সোনা মিয়া ছবিটি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সোনা মিয়া ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘রাতারগুল বনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাতারগুল গ্রামবাসীর। এ কারণে শহীদুল ইসলাম আমাকে নিয়ে বনের ভেতরে টহলে বের হন। আমরা বিট অফিসের সামনে যাওয়ার পর দেখি একটি নৌকায় গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে পাশের মহেষখেড় গ্রামের ইসলাম উদ্দীন। তাকে আমরা আটক করি। এ সময় শহীদুল ইসলামের নির্দেশে কাঠবোঝাই নৌকা থেকে দা উদ্ধার করি। পরে ইসলাম উদ্দীন ও শহীদুল ইসলামের আলাপচারিতায় ধারণা হয়, তারা পূর্বপরিচিত। তখন শহীদুল ইসলাম মহেষখেড় গ্রামের দুজন ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। খুব সম্ভবত মহেষখেড় গ্রামের রাতারগুল রক্ষার নামে একটি কমিটির মেম্বার আবদুল্লাহ অথবা সোহেল হবে। এরপরই ইসলাম উদ্দীন শহীদুলের পা ধরলে তিনি তাকে কাঠবোঝায় নৌকাসহ ছেড়ে দেন।’
সোনা মিয়া বলেন, ‘আমি শহীদুল ইসলামের কাছে ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাই এবং গাছ পাচারকারী ইসলাম উদ্দীনকে বিট অফিসে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শহীদুল ইসলাম তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনার পরদিন আমি একসময় ফরেস্ট অফিসে যাই এবং বিষয়টি বিটের দায়িত্বে থাকা হুমায়ূন (বর্তমানে মৃত) এবং গার্ড ইসহাককে জানাই। তারা আমাকে বলেন, যেহেতু শহীদুল ছেড়ে দিয়েছেন, সেহেতু আমাদের আর কিছু করার নাই। পরে আমার হাতে জব্দ থাকা দা’টি ফরেস্ট অফিসে জমা দিয়ে ফিরে আসি।’
এনজিও ক্রেলের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা সহায়ক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাউকে আটকের দায়িত্ব নেই। আমি বন ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করি। তাই ওই দিন পরিদর্শনের সময় নৌকাসহ পাচারকারীকে পাই। তারপর তাকে বলি, এভাবে তোমরা গাছ কাটলে বন ধ্বংস হয়ে যাবে, পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তোমরা জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে না।’
গাছসহ পাচারকারীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন শহীদুল। গাছ কাটার দা’টি তাঁর নৌকার মাঝি সোনা মিয়া বন বিভাগের বিট অফিসে জমা দেন বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে রাতারগুল গ্রামে গেলে স্থানীয়রা জানান, রাতারগুল বনের ভেতরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবাধে গাছ নিধন, অবৈধভাবে মাছ আহরণসহ নানা অপকর্ম চলছে। পাশাপাশি বন দেখতে আসা পর্যটকরাও খাবারের পলিথিন ফেলে, গাছের ডালপালা ভেঙে, উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে এবং ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে প্রবেশ করে বনের পরিবেশ দূষণ করছে।
রাতারগুল রক্ষায় একটি আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভূমি সন্তান বাংলাদেশ’ রাতারগুলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটির সমন্বয়ক আশরাফুল কবীর বলেন, ‘রাতারগুল বন একটি বিশেষ ধরনের বন। শুরু থেকেই সিলেটের সর্বস্তরের পরিবেশকর্মীরা সরকারের কাছে এই বন রক্ষায় বিশেষজ্ঞ মহলের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বন বিভাগ এই বন রক্ষার চেয়ে প্রকল্প নিয়ে বেশি ব্যস্ত। তাই তাদের কাছে এই গাছ কাটা বা বন বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড বন্ধ মুখ্য বিষয় নয়। কেননা এই বনটিকে তারা একটি পুরোদস্তুর পর্যটন কেন্দ্র বানানোর পাঁয়তারা করছে। অথচ এই বনটি পর্যটন কেন্দ্রের চেয়ে একটি প্রাকৃতিক জাদুঘর হওয়া উচিত। যেখানে বন গবেষণা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড চলবে।’
আশরাফুল আরো বলেন, ‘বন বিভাগ এবং ক্রেল প্রকল্পবাজির জন্যই এই বনে কো-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই বন বাংলাদেশের অন্যান্য বনের চেয়ে ভিন্ন। তাই এখানে কো-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি ভেঙে পড়বে। এ ছাড়া ক্রেল এই কো-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করতে কোনো ধরনের পরিবেশ কর্মী বা পরিবেশ বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়নি। শুধু শহীদুল নন, ক্রেলের আরো বড় যত কর্মকর্তা আছেন, সবাই বনদস্যুদের বন্ধু। কেননা বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা যখন বনদস্যুদের আটক করে, তখন ক্রেলের কর্মকর্তারা তাদের ছাড়িয়ে নিতে তদবির করেন। তাহলে তাঁদের নিয়ে বন বিভাগ কীভাবে এই রাতারগুল রক্ষায় কাজ করছে?’
রাতারগুল পরিদর্শনের সময় ওই গ্রামের অনেকেই জানান, এই ঘটনার আগেও আরো একাধিকবার গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। গেল ২৯ সেপ্টেম্বর বিট অফিসে ক্রেল একটি সভার আয়োজন করে। সেখানে ক্রেলের কর্মকাণ্ড ও রাতারগুল ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় রাতারগুল গ্রামের ঈসমাইল মিয়া ক্রেলের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সে মুহূর্তে ক্রেল ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন। পরে তিনি সভাটি প্রত্যাখ্যান করে বের হয়ে আসেন। বাইরে বেরোনোর পর শব্দ শুনে অফিসের পেছনে গেলে দেখেন দুজন ব্যক্তি বনের গাছ কাটছেন। তখন তিনি তাঁদের মারধর করেন। একপর্যায়ে সভাস্থল থেকে ক্রেলের সাইট অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বের হয়ে আসেন। এ সময় তিনি ঈসমাইল মিয়াকে বলেন, ‘ওরা গরিব লোক, ভুল করে ফেলেছে। আর কখনো আসবে না, তাদের ছেড়ে দিন।’
তবে এ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ক্রেলের কার্যক্রম নিয়ে রাতারগুল এলাকাবাসীর সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা হয়েছিল আমাদের। তবে ওই দিন গাছ কাটার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটলেও সে বিষয়ে আমি জানি না।’
প্রসঙ্গত, ইউএসআইডির একটি প্রকল্পের আওতায় ক্লাইমেট রেসিলেন্ট ইকো সিস্টেমস অ্যান্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল) নামক এনজিও সংস্থাটি রাতারগুলে বন বিভাগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকল্পের কাজ করছে।
-এনটিভি অনলাইন
বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতিতে বনটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে একটি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও। যার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা নয়, উল্টো বন ভক্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, কাঠ পাচারকারী নৌকার মাঝি স্থানীয় মহেষখেড় গ্রামের ইসলাম উদ্দীন পা ধরে আছেন এনজিও ক্রেলের কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের। এ সময় শহীদুলের সঙ্গে থাকা নৌকার মাঝি রাতারগুল গ্রামের সোনা মিয়া ছবিটি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সোনা মিয়া ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘রাতারগুল বনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাতারগুল গ্রামবাসীর। এ কারণে শহীদুল ইসলাম আমাকে নিয়ে বনের ভেতরে টহলে বের হন। আমরা বিট অফিসের সামনে যাওয়ার পর দেখি একটি নৌকায় গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে পাশের মহেষখেড় গ্রামের ইসলাম উদ্দীন। তাকে আমরা আটক করি। এ সময় শহীদুল ইসলামের নির্দেশে কাঠবোঝাই নৌকা থেকে দা উদ্ধার করি। পরে ইসলাম উদ্দীন ও শহীদুল ইসলামের আলাপচারিতায় ধারণা হয়, তারা পূর্বপরিচিত। তখন শহীদুল ইসলাম মহেষখেড় গ্রামের দুজন ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। খুব সম্ভবত মহেষখেড় গ্রামের রাতারগুল রক্ষার নামে একটি কমিটির মেম্বার আবদুল্লাহ অথবা সোহেল হবে। এরপরই ইসলাম উদ্দীন শহীদুলের পা ধরলে তিনি তাকে কাঠবোঝায় নৌকাসহ ছেড়ে দেন।’
সোনা মিয়া বলেন, ‘আমি শহীদুল ইসলামের কাছে ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাই এবং গাছ পাচারকারী ইসলাম উদ্দীনকে বিট অফিসে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শহীদুল ইসলাম তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনার পরদিন আমি একসময় ফরেস্ট অফিসে যাই এবং বিষয়টি বিটের দায়িত্বে থাকা হুমায়ূন (বর্তমানে মৃত) এবং গার্ড ইসহাককে জানাই। তারা আমাকে বলেন, যেহেতু শহীদুল ছেড়ে দিয়েছেন, সেহেতু আমাদের আর কিছু করার নাই। পরে আমার হাতে জব্দ থাকা দা’টি ফরেস্ট অফিসে জমা দিয়ে ফিরে আসি।’
এনজিও ক্রেলের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা সহায়ক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাউকে আটকের দায়িত্ব নেই। আমি বন ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করি। তাই ওই দিন পরিদর্শনের সময় নৌকাসহ পাচারকারীকে পাই। তারপর তাকে বলি, এভাবে তোমরা গাছ কাটলে বন ধ্বংস হয়ে যাবে, পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তোমরা জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে না।’
গাছসহ পাচারকারীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন শহীদুল। গাছ কাটার দা’টি তাঁর নৌকার মাঝি সোনা মিয়া বন বিভাগের বিট অফিসে জমা দেন বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে রাতারগুল গ্রামে গেলে স্থানীয়রা জানান, রাতারগুল বনের ভেতরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবাধে গাছ নিধন, অবৈধভাবে মাছ আহরণসহ নানা অপকর্ম চলছে। পাশাপাশি বন দেখতে আসা পর্যটকরাও খাবারের পলিথিন ফেলে, গাছের ডালপালা ভেঙে, উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে এবং ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে প্রবেশ করে বনের পরিবেশ দূষণ করছে।
রাতারগুল রক্ষায় একটি আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভূমি সন্তান বাংলাদেশ’ রাতারগুলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটির সমন্বয়ক আশরাফুল কবীর বলেন, ‘রাতারগুল বন একটি বিশেষ ধরনের বন। শুরু থেকেই সিলেটের সর্বস্তরের পরিবেশকর্মীরা সরকারের কাছে এই বন রক্ষায় বিশেষজ্ঞ মহলের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বন বিভাগ এই বন রক্ষার চেয়ে প্রকল্প নিয়ে বেশি ব্যস্ত। তাই তাদের কাছে এই গাছ কাটা বা বন বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড বন্ধ মুখ্য বিষয় নয়। কেননা এই বনটিকে তারা একটি পুরোদস্তুর পর্যটন কেন্দ্র বানানোর পাঁয়তারা করছে। অথচ এই বনটি পর্যটন কেন্দ্রের চেয়ে একটি প্রাকৃতিক জাদুঘর হওয়া উচিত। যেখানে বন গবেষণা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড চলবে।’
আশরাফুল আরো বলেন, ‘বন বিভাগ এবং ক্রেল প্রকল্পবাজির জন্যই এই বনে কো-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই বন বাংলাদেশের অন্যান্য বনের চেয়ে ভিন্ন। তাই এখানে কো-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি ভেঙে পড়বে। এ ছাড়া ক্রেল এই কো-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করতে কোনো ধরনের পরিবেশ কর্মী বা পরিবেশ বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়নি। শুধু শহীদুল নন, ক্রেলের আরো বড় যত কর্মকর্তা আছেন, সবাই বনদস্যুদের বন্ধু। কেননা বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা যখন বনদস্যুদের আটক করে, তখন ক্রেলের কর্মকর্তারা তাদের ছাড়িয়ে নিতে তদবির করেন। তাহলে তাঁদের নিয়ে বন বিভাগ কীভাবে এই রাতারগুল রক্ষায় কাজ করছে?’
রাতারগুল পরিদর্শনের সময় ওই গ্রামের অনেকেই জানান, এই ঘটনার আগেও আরো একাধিকবার গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। গেল ২৯ সেপ্টেম্বর বিট অফিসে ক্রেল একটি সভার আয়োজন করে। সেখানে ক্রেলের কর্মকাণ্ড ও রাতারগুল ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় রাতারগুল গ্রামের ঈসমাইল মিয়া ক্রেলের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সে মুহূর্তে ক্রেল ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন। পরে তিনি সভাটি প্রত্যাখ্যান করে বের হয়ে আসেন। বাইরে বেরোনোর পর শব্দ শুনে অফিসের পেছনে গেলে দেখেন দুজন ব্যক্তি বনের গাছ কাটছেন। তখন তিনি তাঁদের মারধর করেন। একপর্যায়ে সভাস্থল থেকে ক্রেলের সাইট অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বের হয়ে আসেন। এ সময় তিনি ঈসমাইল মিয়াকে বলেন, ‘ওরা গরিব লোক, ভুল করে ফেলেছে। আর কখনো আসবে না, তাদের ছেড়ে দিন।’
তবে এ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ক্রেলের কার্যক্রম নিয়ে রাতারগুল এলাকাবাসীর সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা হয়েছিল আমাদের। তবে ওই দিন গাছ কাটার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটলেও সে বিষয়ে আমি জানি না।’
প্রসঙ্গত, ইউএসআইডির একটি প্রকল্পের আওতায় ক্লাইমেট রেসিলেন্ট ইকো সিস্টেমস অ্যান্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল) নামক এনজিও সংস্থাটি রাতারগুলে বন বিভাগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকল্পের কাজ করছে।
-এনটিভি অনলাইন
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন