সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারান্তরীণ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কারান্তরিণ হওয়ার ২৩৬ দিন পর শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়া গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর মুক্তির দাবি জানান। আরিফের সাথে কারান্তরিণ আরও ২০ নেতার মুক্তির দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন- ‘আটক সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তিদানের মাধ্যমে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা না দিয়ে, দলন-নিপীড়ণের পথ থেকে সরে এসে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের বদ্ধ কপাট খুলে দেয়ার আহ্বান জানাই।’
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে কিবরিয়া হত্যা মামলায় জামিন প্রার্থনা করেন আরিফ। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারান্তরিণ রয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। পরের দিন আদালত মেয়র আরিফসহ ওই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা জারির পর আরিফ আত্মগোপনে চলে যান।
পরে ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রোকেয়া আক্তারের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মেয়র আরিফ। আত্মসমর্পণের পাশাপাশি জামিনের আবেদন করা হয় আরিফের পক্ষ থেকে। ৩০/৩৫ আইনজীবী তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। তার পক্ষে আইনি লড়াইয়ে যোগ দিতে সিলেট থেকেও কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী হবিগঞ্জ আসেন। শুনানি শেষে আদালত আরিফকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে ৩১ ডিসেম্বর রাতে তিনি হবিগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন