বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৫

সিলেটের আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র ‘নতুন বিছনাকান্দি’ উতমাছড়া

সারি সারি নীল পাহাড়ের কোলে পাথর বিছানো বিস্তৃত এলাকায় জলের ছুটাছুটি। পাহাড়ের বুক চিরে বের হয়ে আসা ঠাণ্ডা পানির স্রোত। যা আপনাকে দু’হাত প্রসারিত করে আলিঙ্গন করবে সব সয়মই।

পাঠক, বলছি না বিছনাকান্দির কথা। এতোদিনে বিছনাকান্দি হয়তো আপনাদের ঘুরে আসা হয়েছে অনেকবার। এবার ঘুরে আসতে পারেন বিছনাকান্দির চেয়েও সুন্দর নতুন আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র। প্রকৃতির সৌন্দর্যে শোভিত অপরূপ এই লীলাভূমির নাম উতমাছড়া।

প্রকৃতির অসাধারণ রূপ-লাবন্যে ঘেরা এই স্থানটি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে অবস্থিত। গরমের অস্বস্তি থেকে প্রকৃতির কোলে শান্তি পেতে চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন উতমাছড়া থেকে।

সিলেটের মানুষের কাছে জায়গাটি অপরিচিত হলেও এখানে আপনি পেতে পারেন প্রকৃতির মনোরম লাবণ্যের স্পর্শ। একে জীবন-যাপনের যাবতীয় ক্লান্তি বিসর্জনের জন্য চমৎকার যায়গা বললেও বরং কম হয়ে যায়।

এখানে পাথরে ভরা পুরো এলাকা। পানিতে বিছানো রয়েছে মোটা-শক্ত, ছোট-বড় অসংখ্য পাথর। সে সব পাথরের কোনোটাতে মোটা ঘাসের আস্তরণ। আবার কোনোটা বা ধবধবে সাদা।

কিভাবে যাবেন?
উতমাছড়ার এমন সৌন্দর্য বরষা চলে গেলে বা পানি কমে গেলে আর থাকেনা। তখন এটা একটা মরুদ্যান মতো লাগে। পাথর বহন করার জন্য এখানে চলে অজস্র ট্রাক আর ট্রাকটর। সুতরাং অক্টোবর পর্যন্ত বিছনাকান্দি যাবার মোক্ষম সময়। মন চাইলে এখনি চলে যেতে পারেন।

সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সরাসরি সিএনজিযোগে যাওয়া যায় দয়ারবাজারে। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ৩৫ কি.মি. দুরের এই জায়গার ভাড়া জনপ্রতি ১৬০-১৮০ টাকা। আর দয়ারবাজার থেকে আবার সিএনজিযোগে আপনাকে যেতে হবে চড়ারবাজারে। এই ৮ কি.মি রাস্তা যাওয়ার জন্য জনপ্রতি ভাড়া গুনতে হবে ২৫-৩০ টাকা। চড়ারবাজার থেকে হেটে উতমাছড়া মুল স্পটে যেতে সময় লাগবে ১০-১৫ মিনিট।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Design Blog, Make Online Money