রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্বল নক্ষত্র, সিলেটের সন্তান সালমান শাহ’র ১৯তম মৃত্যুবার্ষীকি আজ

সালমান শাহ
শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন
১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ (বয়স ৪৩)
জকিগঞ্জ উপজেলা, সিলেট জেলা, বাংলাদেশ
মৃত্যু সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৯৬ (২৪ বছর)
পেশা চলচ্চিত্র অভিনেতা
কার্যকাল ১৯৮৬–১৯৯৬
দম্পতি সামিরা (১৯৯১-১৯৯৬)

সালমান শাহ (জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ - মৃত্যু: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬), বাংলাদেশের ১৯৯০-এর দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়ক[১]। প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন[২]। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার এই অভিনেতা সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্র অভিনয় করেন। এছাড়াও টেলিভিশনে তার অভিনীত গুটি কয়েক নাটক প্রচারিত হয়। ১৯৯৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত মুক্তি পায়[১]। একই ছবিতে নায়িকা মৌসুমী ও গায়ক আগুনের অভিষেক হয়। জনপ্রিয় এই নায়ক নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকালে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন[১]। অভিযোগ উঠে যে, তাকে হত্যা করা হয়; কিন্তু তার সিলিং ফ্যানে ফাঁসিতে হত্যাকান্ডের কোনো আইনী সুরাহা শেষ পর্যন্ত হয়নি।

সংক্ষিপ্ত জীবনী
সালমান শাহ্‌ ১৯৭১ সালে সিলেট জেলায় অবস্থিত জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন, এবং তাঁর রাশি ছিল বৃশ্চিক। তাঁর পিতা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। তিনি পরিবারের বড় ছেলে। যদিও তাঁর মুল নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন, কিন্তু চলচ্চিত্র জীবনে তিনি সবার কাছে 'সালমান শাহ' বলেই পরিচিত ছিলেন। সালমান শাহ ১২ আগস্ট ১৯৯২ বিয়ে করেন, এবং তাঁর স্ত্রীর নাম সামিরা।

১৯৮৫/৮৬ সালের দিকে হানিফ সংকেতের গ্রন্থনায় কথার কথা নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রচারিত হত। এর কোন একটি পর্বে ‘নামটি ছিল তার অপূর্ব’ নামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও পরিবেশিত হয়। হানিফের সংকেতের স্বকন্ঠে গাওয়া এই গান এবং মিউজিক ভিডিও দুটোই অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত। একজন সম্ভাবনাময় সদ্য তরুন তার পরিবারের নানারকমের ঝামেলার কারনে মাদকাসক্ত হয়ে মারা যায়, এই ছিল গানটার থিম। গানের প্রধান চরিত্র অপূর্বর ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমেই সালমান শাহ মিডিয়াতে প্রথম আলোচিত হন। তখন অবশ্য তিনি ইমন নামেই পরিচিত ছিলেন। মিউজিক ভিডিওটি জনপ্রিয়তা পেলেও নিয়মিত টিভিতে না আসার কারনে দর্শক আস্তে আস্তে ইমনকে ভুলে যায়। আরও কয়েক বছর পর অবশ্য তিনি আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রযোজনায় পাথর সময় নাটকে একটি ছোট চরিত্রে এবং কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছিলেন। ১৯৯৩ সালের ২৫শে মার্চ। ঈদুল ফিতর। হিন্দি কেয়ামত সে কেয়ামত তক ছবির কপিরাইট বৈধভাবে কিনে আনন্দমেলা সিনেমা লিমিটেড পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে দিয়ে তৈরী করে কেয়ামত থেকে কেয়ামত। সেসময়কার জনপ্রিয় মডেল আনন্দবিচিত্রা সুন্দরী মৌসুমীর সাথে অভিনয় করেন অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিচিত ইমন। প্রযোজকগোষ্ঠি অবশ্য ততদিনে পারিবারিক নামকে একটু কাটছাট করে তার পর্দা নাম ঠিক করেছেন সালমান শাহ। খলনায়ক ডন (সাম্প্রতিক ছবি) নায়ক-নায়িকা ছাড়াও এই ছবিতে ডন নামের এক তরুন খলনায়কের অভিষেক ঘটে। বেশিরভাগ ছবিতে যেহেতু তরুন নায়কের কাউন্টার পার্ট হিসেবে একজন তরুন খলনায়কের প্রয়োজন হয়, সালমানের সাথে সাথে ডনের ক্যারিয়ারও দাঁড়িয়ে যায়। সালমান নিজেও ডনকে যথেষ্ট সহযোগিতা করে উপরে ওঠার সুযোগ করে দেন এবং তার প্রায় সব ছবিতেই ডনের উপস্থিতি ছিল। একসাথে প্রচুর কাজ করতে করতে ডন সালমানের পারিবারিক বন্ধু হয়ে ওঠে। কাকে বেশি সুদর্শন, স্মার্ট লাগছে? কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির ব্যবসা বা সালমানের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। সালমান সম্বন্ধে শুধু এটুকু বলা যায়, বাংলাদেশি বাংলা ছবির প্রায় ৫০ বছরের ইতিহাসে সেই প্রাচীন আমলে রহমান এবং নায়করাজ রাজ্জাকের পর সালমানই একমাত্র নায়ক যিনি সর্বমহলে তার গ্রহনযোগ্যতা তৈরী করতে এবং তরুনদের স্টাইল আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন। বাংলা ছবির নায়কদের মধ্যে সালমান ছাড়া অন্য কারো ফ্যাশন, স্টাইল লোকে তার আগে বা পরে কখনোই অনুসরন করেনি। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেনী হয়ত অনভ্যাস, সিনেমা হলের পরিবেশ এবং তার অভিনীত ছবিগুলির মানের কারনে হলে যায়নি, কিন্তু নায়ক হিসেবে সালমানকে বরণ করে নিয়েছিল। (সালমান শাহ, শমী কায়সার, তমালিকা কর্মকার অভিনীত নাটক নয়ন (১৯৯৫) জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাবস্থায় তিনি বিটিভির নিজস্ব প্রডাকশন মামুনুর রশীদের ধারাবাহিক ইতিকথা এবং আরও কিছু প্যাকেজ নাটকেও অভিনয় করেন। বিটিভির নিজের নাটক, এমনকি প্যাকেজ নাটকের শিল্পীদেরও যে সামান্য পারিশ্রমিক সেটা সালমান কোন ছবির এক শিফটের কাজ করেও এর চেয়ে বেশি পেতেন। কিন্তু নিজের তারকা ইমেজকে তিনি বাংলা ছবির তথাকথিত নিয়মিত দর্শকদের মধ্যে সীমিত না রেখে সার্বজনীন জনপ্রিয়তা পেতে চেয়েছিলেন এবং একাজে তিনি দুর্দান্তভাবে সফল।

শিক্ষাজীবন
সালমান শাহ খুলনা বয়রা মডেল হাইস্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ঢাকায় চলে আসেন।ঢাকায় এসে ধানমন্ডির আরব মিশন স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৮৭ সালে ধানিমন্ডির আরব মিশন স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং মালেকা সায়েন্স কলেজ, ধানমন্ডি থেকে স্নাতক শেষ করেন।

অভিনয় জীবন

১৯৯৩ সালের ঈদুল ফিতরের ছবিগুলোর মাঝে মুক্তি পায় সোহানুর রহমান সোহানের রেকর্ড পরিমান ব্যবসাসফল ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ । যা পরিচালক ও প্রযোজক ভারত থেকে মুল ছবির প্রযোজক ও পরিচাকের অনুমতি নিয়েই ছবিটি তৈরি করেন। সোহান তখন ইন্ডাস্ট্রির নবীন একজন পরিচালক যিনি বাংলাদেশের ৮০র দশক থেকে ৯০ দশক এর সবচেয়ে সেরা পরিচালক এ জে মিন্টুর সহকারী পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছিলেন এবং মিন্টুকেই যিনি ‘গুরু’ মানেন। ৯২ সালে ‘বেনাম বাদশাহ’ দিয়ে সোহান পরিচালকের খাতায় নাম লিখান যেটি ছিল সেই সময়ের অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি। প্রথম ছবিতেই সোহান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন গুরু মিন্টুর যোগ্য একজন ছাত্রই ছিলেন তিনি। সোহানের ছবি দিয়ে কাজ শুরু করলেও সালমান কে কখনও গুরু এ জে মিন্টুর ছবিতে পাওয়া যায়নি। যা সালমান এর নিজেরও একটা আক্ষেপ ছিল মিন্টুর ছবিতে কাজ না করার জন্য।

প্রথম সাক্ষাতেই দর্শক নড়ে চড়ে বসলো নতুন সুদর্শন তরুন নায়ক সালমান কে দেখে । এরপর যতই ছবির গল্প এগোতে থাকে ততই যেন সালমানকে দর্শকদের ভালো লাগতে থাকে । সেই সাথে ভালো লাগতে থাকে সালমান – মৌসুমি জুটিকে । কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির সুপারহিট সালমান মৌসুমির ২য় সুপারহিট ছবি শিবলি সাদিক এর ‘অন্তরে অন্তরে’। ‘অন্তরে অন্তরে ‘ ছবির আলম খানের গানগুলো ছিল সেই সময়ের রেডিও ও টেলিভিশনের ছায়াছবির গানের মধ্য তুমুল জনপ্রিয় গান। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ও ‘অন্তরে অন্তরে’ ছায়াছবি দুটি সুপারহিট হওয়ার সুবাদে সালমান- মৌসুমি জুটির চাহিদা আকাশতুঙ্গে। ঠিক এমন সময়ই কি এক অজানা কারনে সালমান – মৌসুমি আর জুটি বাঁধতে রাজী হননি। তাঁরা দুজনেই নিজেদের চেনাতে সিদ্ধান্ত নিলেন যে আর একসঙ্গে কোন ছবিতে অভিনয় করবেন না যা পরবর্তীতে মাত্র আরও ২ টি ছবি ছাড়া দুজনের দেখা একসঙ্গে দর্শকরা পায়নি। ফলে পরিচালকগন বেশ বিপাকে পড়ে যান ,কারন ঐ সময় মৌসুমি ছাড়া প্রতিষ্ঠিত সব অভিনেত্রীই ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে সালমানের সিনিয়র যারা তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। বিশেষ করে চম্পা ও দিতি। এদের সাথে জুটি করেও লাভ হবেনা। সালমান হয়ে পড়েন মৌসুমি বিহীন একা।

প্রয়াত অভিনেতা ও পরিচালক জহিরুল হক সিদ্ধান্ত নেন যে ইন্ডাস্ট্রির আরেক নতুন মুখ ‘শাবনুর’কে নিয়ে সালমান এর সাথে ছবি বানাবেন। "তুমি আমার" ছবিটি সালমান ও শাবনুর জুটির প্রথম কাজ। তুমি আমার ছবির সাফল্যর পরপরেই পরিচালক জহিরুল হক সালমান -শাবনুর জুটিকে নিয়ে ৭০র দশকের সুপারহিট খান আতাউর রহমান এর ‘সুজন সখী’ (ফারুক কবরী) রিমেক বানানোর ঘোষণা দেন যা পরবর্তীতে তিনি শেষ করে যেতে পারেননি । ছবিটির শুটিং শুরু করার পরপরেই পরিচালক জহিরুল হক মৃত্যুবরণ করেন যার ফলে ছবিটির কাজ থেমে যায়। পরবর্তীতে পরিচালক তমিজ উদ্দিন রিজভি ছবিটির কাজ শেষ করে পরিচালক জহিরুল হক এর নাম দিয়েই ছবিটি মুক্তি দেন। পরিচালক মোহাম্মদ হান্নান তিন সুপারহিট রোমান্টিক ছবির নায়ক সালমান কে নিয়ে তৈরি করেন বাংলাদেশের অন্ধকার ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ ‘বিক্ষোভ’ ছবিটি।

মাত্র তিনবছরের ক্যারিয়ারে প্রয়াত সালমান যে সকল খ্যাতিমান ও গুণী পরিচালকদের ছবিতে কাজ করেছিলেন তাদের নাম ও ছবির তালিকা – সোহানুর রহমান সোহান (কেয়ামত থেকে কেয়ামত), শিবলি সাদিক – (অন্তরে অন্তরে, আনন্দ অশ্রু ও মায়ের অধিকার), জহিরুল হক ( তুমি আমার ও সুজন সখী), গাজী মাজহারুল আনোয়ার (স্নেহ), শফি বিক্রম্পুরি ( দেনমোহর), দিলিপ সোম (মহামিলন), এম এম সরকার (চাওয়া থেকে পাওয়া, প্রেম পিয়াসি), বাদল খন্দকার ( স্বপ্নের পৃথিবী), হাফিজউদ্দিন ( আঞ্জুমান), দেলোয়ার জাহান ঝনটু ( কন্যাদান) , মালেক আফসারি ( এই ঘর এই সংসার), এম এ খালেক ( স্বপ্নের পৃথিবী), জীবন রহমান (প্রেমযুদ্ধ), মোহাম্মদ হান্নান (বিক্ষোভ), মোহাম্মদ হোসেন (প্রিয়জন), মতিন রহমান (তোমাকে চাই) ,শাহ আলম কিরন ( বিচার হবে), জাকির হোসেন রাজু ( জীবন সংসার) তমিজ উদ্দিন রিজভী (আশা ভালোবাসা) ।। যে সকল গুণী ও খ্যাতিমান পরিচালকদের সাথে কাজ করতে পারেননি বা করার সুযোগ হয়নি তাঁরা হলেন – কামাল আহমেদ, এ জে মিন্টু, দেওয়ান নজরুল, মোতালেব হোসেন, দিলীপ বিশ্বাস, রায়হান মুজিব, ফজল আহমেদ বেনজীর , কাজী হায়াত, শহিদুল ইসলাম খোকন, মোস্তফা আনোয়ার, চাষি নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আবুল খায়ের বুলবুল, অশোক ঘোষ, নাদিম মাহমুদ, সিদ্দিক জামাল নানটু, ইস্পাহানি আরিফ জাহান, নূর হোসেন বলাই, মমতাজুর রহমান আকবর, সৈয়দ হারুন, আওকাত হোসেন, মনোয়ার খোকন, উত্তম আকাশ, ওয়াকিল আহমেদ, বেলাল আহমেদ, এফ আই মানিক, আজিজুর রহমান বুলি, শেখ নজরুল ইসলাম, আলমগীর কুমকুম ।। যাদের ছবি করতে পারেনি উনাদের যদি একটি করে ছবি সালমান জীবিত অবস্থায় উপহার দিয়ে যেতে পারতো তাহলে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে আরও কিছু কালজয়ী ছবি দর্শকরা পেতো। এই আফসোস রয়ে যাবে সালমান ভক্তদের চিরকাল।

মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র

১৯৯৩ কেয়ামত থেকে কেয়ামত রাজ সোহানুর রহমান সোহান মৌসুমী চলচ্চিত্রে অভিষেক।
১৯৯৪ তুমি আমার জহিরুল হক শাবনূর
অন্তরে অন্তরে শান শিবলী সাদিক মৌসুমী
সুজন সখী শাহ আলম কিরণ শাবনুর
বিক্ষোভ মোহাম্মদ হান্নান শাবনূর
স্নেহ ইমন গাজী মাজহারুল আনোয়ার মৌসুমী
প্রেম যুদ্ধ রাজা জীবন রহমান লিমা
১৯৯৫ দেন মোহর সরোয়ার শফী বিক্রমপুরী মৌসুমী
কন্যাদান দেলোয়ার জাহান ঝন্টু লিমা
স্বপ্নের ঠিকানা সুমন এম. এ. খালেক শাবনূর
আঞ্জুমান হাফিজউদ্দিন শাবনাজ
মহা মিলন শান্ত দিলীপ সোম শাবনূর
আশা ভালবাসা আকাশ তমিজুদ্দিন রিজভী শাবনাজ
১৯৯৬ বিচার হবে সুজন শাহ আলম কিরণ শাবনূর
এই ঘর এই সংসার' মিন্টু মালেক আফসারী বৃষ্টি
প্রিয়জন নয়ন/জিবন রানা নাসের শিল্পী
তোমাকে চাই সাগর মতিন রহমান শাবনূর
স্বপ্নের পৃথিবী মাসুম বাদল খন্দকার শাবনূর
সত্যের মৃত্যু নাই ছটকু আহমেদ শাহনাজ
জীবন সংসার সবুজ জাকির হোসেন রাজু শাবনূর
মায়ের অধিকার শিবলী সাদিক শাবনাজ
চাওয়া থেকে পাওয়া এম এম সরকার শাবনূর
১৯৯৭ প্রেম পিয়াসী হ্রদয়/জিবন চৌধুরি (ছদ্ম নাম) রেজা হাসমত শাবনূর
স্বপ্নের নায়ক রাজু নাসির খান শাবনূর
শুধু তুমি আকাশ কাজী মোর্শেদ শ্যামা
আনন্দ অশ্রু খসরু শিবলী সাদিক শাবনূর
বুকের ভিতর আগুন আগুন ছটকু আহমেদ শাবনূর শেষ ছবি

টিভি নাটক
পাথর সময়
ইতিকথা
আকাশ ছোঁয়া
দোয়েল
সব পাখি ঘরে ফেরে
সৈকতে সারস
নয়ন
স্বপ্নের পৃথিবী

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Design Blog, Make Online Money