শিক্ষকতা সবসময়ই মহান পেশা। জাতি গড়ার কারিগরই বলা হয় শিক্ষককে। তবে এই
মহান পেশাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন ভারতের স্কুলশিক্ষক এটি আব্দুল মালিক।
সময়মতো ক্লাসে পৌঁছাতে তিনি প্রতিদিন নদী সাঁতরে স্কুলে যান। ৩৫ বছরের
শিক্ষকতা জীবনে তিনি পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ৭০০ কিলোমিটার।
কেরালার
পদিনিযাদুমরি গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯২ সাল থেকে শিক্ষকতা
করছেন মালিক। তার বাসা থেকে স্কুলটিতে যাওয়ার জন্য তাকে দুইটি বাস বদলাতে
হয়। হাটতে হয় আরো ২ কিলোমিটার। স্কুল
পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। কিন্তু নদীর পারে যেতে তার
সময় লাগে ১০ মিনিট। আর সেখান থেকে স্কুলের দূরত্ব তিন মিনিটের।
প্রতিদিন নদীর পারে গিয়ে নিজের পোশাক ও জিনিসিপত্র প্লাস্টিকে মুড়িয়ে ফেলেন
তিনি। চোখে গগলস ও এক হাতে ব্যাগ নিয়ে পানির উপরে ধরে রেখে নদী পার হন এই
শিক্ষক । সময়ানুবর্তীতার জন্য নিজেই গ্রামবাসীদের কাছ এক জীবন্ত ঘড়িতে
পরিণত হয়েছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল ৯ টার সময় তিনি পানিতে থাকেন। নদী পার
হয়ে আবার কাপড় পরে স্কুলে যান মালিক। সেখানে হাসিমুখে তার জন্য অপেক্ষা
করতে থাকে অনেক শিশু। আ্রর এই শিশুদের হাসিমুখই তার প্রেরণা বলে জানান ওই
শিক্ষক।
এর আগে ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে তার প্রশংসা করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। মালিকের এই পরিশ্রমের জন্য যুক্তরাজ্যের এক চিকিৎসক তাকে একটি নৌকাও উপহার দেয়। কিন্তু তার আগেই ১৯ বছর ধরে প্রতিদিন সাঁতরেই ক্লাস নিতে গেছেন মালিক।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন