
প্রতিদিনকার মত আজও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক কনস্টেবল মনির হোসেন । উদ্দেশ্য নিমতলি বিশ্বরোড মোড়ে যানবাহন ও জনগনের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করা ।
সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল...। নাস্তা করা হয়নি ...। ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন....।
হঠাৎ পাশে নালাতে চোখ পড়লো....দেখেন...
ছোট্ট একটি হাত নড়ছে....।
আরে এতো বাচ্চা একটি শিশুর হাত !
নাস্তা..পরিপাটি পোশাক-পরিচ্ছদ, ডিউটির চিন্তা সব মাথা থেকে উধাও !
সবভুলে শিশুটি বাচাঁতে লাফিয়ে পড়লেন দশ-পনের ফিট গভীর নালাতে।
টেনে উপরে ভাসিয়ে তুললেন স্কুল পড়ুয়া এক ছোট্ট ছেলেকে.....।
ছেলেটিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও প্রায় পঁচা দুর্গন্তযুক্ত নালায় ডুবে মরতে যাচ্ছিলেন....।
আশে-পাশের লোকজন ও সহকর্মীরা সময়মত না আসলে মনিরসহ ছেলেটি ডুবে যেত.....।
উদ্ধারের পর জানা গেলো মূল ঘটনা । সকালে স্কুলে যাবার পথে ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় ছেলেটি ।
হঠাৎ পা পিছলে দশ-পনের ফিট গভীর নালাতে পড়ে যায়. ।
তারপরপরই আমাদের সময়ের নায়ক ট্রাফিক কনস্টেবল মনিরের আগমণ ।
ছোট্ট ছেলেটির নাম সাজ্জাদ হোসেন, পিতা সাহাদাত হোসেন,মাতা-জেসমিন আকতার,চট্টগ্রামের নিমতলি এলাকাতেই তারা থাকেন.....।
আমরা ট্রাফিক পুলিশ তথা পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে অনেক সমালোচনা করি....। অথচ...প্রতিদিন পুরো সিস্টেম ছাড়া একটি জনবহুল এই দেশে স্বল্প জনবল নিয়ে জনগনের স্বার্থে যে পরিমাণ পরিশ্রম তারা করে থাকে...... তার কথা কতজন বলে? ....।
আমরা শুধু মিডিয়াতে মুদ্রার একটা পিঠ দেখি ।
এইসব মানবিকগুণ সম্পন্ন মানুষগুলো শুধু পুলিশ নয় দেশের সব জায়গায় রয়েছে বলেই দেশটা এখনো নষ্টদের দখলে যায় নি ।
আসুন এই মহান মানুষটিকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে স্যালুট জানাই ।
হ্যাটস অফ মিঃ মনির হোসেন ।
( ছবি ও অনুলিখনঃ সিএমপির ড্যাশিং ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ কামাল হোসেন এর স্ট্যাটাস থেকে তার অনুমতি সাপেক্ষে )
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন